একটা ট্রেন কল্পনা করুন। আপনি উঠেছেন আপনার আসন নিয়ে, ট্রেন চলছে। মাঝপথে নানা যাত্রী ওঠে, কেউ হাসিমুখে কথা বলে, কেউ আবার আপনাকে কষ্ট দেয়। কেউ হয়তো দু-একটা স্টেশন পর নেমে যায়, কেউবা অনেকটা পথ আপনার সঙ্গী হয়।
আমাদের জীবনও অনেকটা সেই ট্রেন ভ্রমণের মতো। আমরা ঠিক করতে পারি না কে আমাদের জীবনে আসবে আর কে যাবে। কিন্তু যাকেই পাই, সে-ই আমাদের জীবনের পথে রেখে যায় ছাপ।
গৌতম বুদ্ধ বলেছেন—
“প্রত্যেক মানুষই তোমাকে কিছু না কিছু শেখাতে আসে, কেউ শেখায় কীভাবে করতে হবে, আর কেউ শেখায় কীভাবে করতে হবে না।”
এই জীবনের যাত্রায় আপনি যেমন মধুর মানুষের দেখা পাবেন, তেমনি পাবেন কিছু কষ্টদায়ক সম্পর্কের অভিজ্ঞতাও। ভালো মানুষ আপনাকে আনন্দ দেবে, উৎসাহিত করবে, আর খারাপ মানুষ আপনাকে ধৈর্য শেখাবে, আত্মনির্ভরশীল হতে সাহায্য করবে।
সক্রেটিস একবার বলেছিলেন—
“কৃতজ্ঞতা শুধু সর্বশ্রেষ্ঠ গুণই নয়, বরং অন্য সব গুণের জন্মদাত্রী।”
তাই আমাদের শিখতে হবে কৃতজ্ঞ হতে। কারণ প্রতিটি সম্পর্ক, প্রতিটি মানুষই আমাদের যাত্রার শিক্ষক। কেউ ভালোবাসার পাঠ দেয়, কেউ সহনশীলতার, আবার কেউ শেখায় আত্মসম্মান ধরে রাখতে।
একজন জ্ঞানী লোক একবার বলেছিলেন,
“জীবনের যাত্রায় মানুষ আসে-যায়। কেউ আসে আশীর্বাদ হয়ে, কেউ আসে শিক্ষা হয়ে।”
একদিন আমার একজন শিক্ষক বলেছিলেন—
“তুমি যেভাবে ট্রেনে উঠা-নামা করা যাত্রীদের নিয়ে বিরক্ত হও না, তেমনি জীবনের যাত্রীদের নিয়েও বিরক্ত হয়ো না। প্রত্যেকেই তোমাকে কোনো না কোনো শিক্ষা দিয়ে যাবে। কেউ হাসির স্মৃতি, কেউ শক্ত হওয়ার পাঠ।”
সেদিন থেকে রাহাত বুঝতে পারলেন—কারো প্রতি রাগ করে নয়, বরং কৃতজ্ঞ হয়ে জীবনযাত্রা এগিয়ে নেওয়াই আসল জ্ঞান।
উপসংহার: দিনের শেষে আমরা যাদেরই পাই না কেন—তাদের জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া উচিত। ভালো মানুষ আমাদের আনন্দ দিয়ে যায়, আর খারাপ মানুষ আমাদের শক্ত করে তোলে।
তাই মনে রাখুন—
“খারাপ মানুষকে এড়িয়ে চলুন, তবে তার কাছ থেকেও শেখার মতো ভালো কিছু খুঁজে নিন।” – ইজাজ আহমেদ
best lesson sir
ReplyDelete